ব্যবসায়ী হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে প্রয়োজন দুর্দান্ত ব্যবসার আইডিয়া এবং পুঁজি। একইভাবে আপনার বর্তমান পেশার পাশাপাশি আরেকটি উপার্জনের উপায় খোঁজ করার জন্যেও প্রয়োজন নতুন বিজনেস আইডিয়া এবং পুঁজি। বর্তমান সময়ে চাকরির পাশাপাশি অল্প পুঁজিতে ছোটখাটো একটি ব্যবসা শুরু করা অনেকেরই স্বপ্ন। তবে উভয় ক্ষেত্রেই দুটি জটিল প্রশ্ন সামনে এসে দাঁড়ায়! এক- কি ব্যবসা করা যায় বা কী কী ব্যবসা করা যায়? দুই- কত পুঁজি প্রয়োজন?
এই ব্লগ থেকে আমরা জানার চেষ্টা করবো- ১ লক্ষ টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়? ব্যবসা করা গেলে কী কী ব্যবসা করা যায়? সেই সাথে আলোচনা করবো কেন ব্যবসা করবেন, ছোট পুঁজিতে ব্যবসার সম্ভাবনা এবং ব্যবসায় সাফল্যের জন্য নির্ভুল হিসাবপাতি’র গুরুত্ব!
ব্লগে যা থাকছে-
১ লক্ষ টাকা দিয়ে কী / কি ব্যবসা করা যায়?
প্রথমত, প্রশ্নটিতে আসলে দুটি প্রশ্ন লুকিয়ে আছে! কী ব্যবসা করা যায়, মানে কী কী ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে কাজ করা যায়। এর উত্তর আলোচনা সাপেক্ষ এবং বড়। আর কি ব্যবসা করা যায়, মানে ব্যবসা কি করা যায় কিনা? এই প্রশ্নের উত্তর এক কথায় দেয়া সম্ভব! উত্তর হলো- হ্যাঁ, অবশ্যই ব্যবসা করা সম্ভব!
বিশেষ করে যদি পুঁজির পরিমাণ হয় ১ লক্ষ টাকা, তখন সহজ, লাভজনক এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসার দিকেই নজর যায়। এখনকার দিনে প্রযুক্তির কল্যাণে ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া বা ছোটখাটো ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে পাওয়া খুবই সহজ। তবে শুরু করার আগে দরকার পরিকল্পনা, সঠিক হিসাব এবং বাজার বিশ্লেষণ। চলুন তাহলে, আমরা আজকে এই দুই প্রশ্নের উত্তর জানতে আমাদের মূল আলোচনায় চলে যাই।
আপনি ব্যবসা কেন করবেন?
ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত আমরা জীবন জীবিকার জন্য নিয়ে থাকি। আবার অনেকে ব্যবসা করতে চায় তাদের ক্যারিয়ার পরিবর্তন করতে, কেউ আবার বাড়তি আয়ের জন্যও ব্যবসা করতে চান। চাকরির নির্ভরশীলতা কাটিয়ে নিজের নিয়ন্ত্রণে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেয় ব্যবসা।
ব্যবসা কেন করবেন-
- আয় বৃদ্ধি: ব্যবসার মাধ্যমে সীমিত আয়ের জীবন থেকে মুক্তি মেলে।
- কাজের স্বাধীনতা: নিজের ইচ্ছেমতো সময় ব্যবস্থাপনা করা যায়।
- চাকরির বিকল্প: দেশে বেকার সমস্যা বাড়ছে, তাই ব্যবসা একটি ভালো বিকল্প।
- সৃজনশীল আত্মপ্রকাশ: নতুন কিছু করার সুযোগ ব্যবসাতেই বেশি। নিজের সৃজনশীলতা এবং শুভচিন্তা কাজে লাগিয়ে নতুন কিছু করার আনন্দ আর কোথাও নেই।
সর্বোপরি ব্যবসা মানেই শুধু পুঁজি, বিনিয়োগ আর লাভ লোকশান নয়। ব্যবস্যা মানে নতুন চিন্তা, পরিশ্রম, পরিকল্পনার সঠিক সংমিশ্রণ।
ছোট পুঁজিতে ব্যবসা নাকি বড় পুঁজিতে ব্যবসা?
ছোট পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করবো নাকি অপেক্ষা করে বড় পুঁজিতে নামবো? প্রশ্নটা খুবই যৌক্তিক!
বাস্তবতা হচ্ছে, বড় পুঁজির ব্যবসায় বড় ঝুঁকিও বহন করতে হয়। কিন্তু ছোট ব্যবসার আইডিয়া বাংলাদেশ-এর মতো জায়গায় অনেক বেশি জনপ্রিয় কারণ-
- শুরু করা সহজ
- ঝুঁকি কম লভ্যাংশ্য বেশি
- ধীরে ধীরে বাড়ানো সম্ভব
- দ্রুত অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ
আজকাল অনেক সফল উদ্যোক্তা তাদের যাত্রা শুরু করছেন মাত্র ৫০ হাজার বা ১ লক্ষ টাকায়। আশেপাশে এমন নজির অনেক। তাই আপনি যদি ভাবেন ১ লক্ষ টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়? এর উত্তর নিশ্চিতভাবেই হ্যাঁ! এবং খুব ভালোভাবেই শুরু করা যায়।
১ লক্ষ টাকা দিয়ে কি কি ব্যবসা করা যায়?
এখন আসুন দেখি, বাংলাদেশে এই পরিমাণ পুঁজি দিয়ে আপনি কোন কোন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। নিচে কিছু জনপ্রিয় ও লাভজনক অনলাইন এবং অফলাইন ব্যবসার তালিকা দেওয়া হলো যা আপনি সহজেই শুরু করতে পারেন-
১. ফেসবুক/ইনস্টাগ্রাম মার্কেটপ্লেস বিজনেস
- পণ্য: ফ্যাশন প্রোডাক্ট (শাড়ি, টি-শার্ট), গৃহসজ্জা (ডেকোরেশন), ইলেকট্রনিক্স (মোবাইল এক্সেসরিজ) ইত্যাদি
বিনিয়োগ:
- পণ্য কেনা: ৫০,০০০-৭০,০০০ টাকা
- ফটোশুট ও মার্কেটিং: ২০,০০০-৩০,০০০ টাকা
সুবিধা:
- ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে সহজেই শুরু করতে পারবেন।
- কম ঝুঁকি, গ্রাহকদের রিভিউ দ্রুত পাওয়া যায়। আর একবার গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে পারলে গ্রাহকরাই আপনার কাস্টমার বাড়াবে।
টিপস:
- ড্রপশিপিং মডেল ব্যবহার করে স্টক ছাড়াই শুরু করুন।
- গ্রাহকদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখুন।
এমন কয়েকটি বিজনেস আইডিয়াও নিচে দিয়ে দিবো। আপনার এলাকা, আপনার স্কিল এবং আপনার পছন্দ মাথায় রেখে এগুলো কিংবা অন্যকিছুও বেছে নিতে পারেন।
১.১. প্রিন্ট অন ডিমান্ড / কাস্টমাইজড গিফট আইটেম ব্যবসা
ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে প্রিন্ট অন ডিমান্ড খুব জনপ্রিয়। আপনি নিজের ডিজাইন তৈরি করে বা কাস্টমারদের পছন্দ মতো টি-শার্ট, মগ, ব্যাগ ইত্যাদিতে প্রিন্ট করে বিক্রি করতে পারেন।
- পুঁজির প্রয়োজন: ৫০,০০০-৮০,০০০ টাকা
- কী লাগবে: প্রিন্টার (ভাড়াও নিতে পারেন), কাঁচামাল, অনলাইন শপ
- লভ্যাংশ: প্রায় ৩০-৫০% মার্জিন থাকে
ব্যবসা করার প্ল্যাটফর্ম: ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, দারাজ
১.২. মোবাইল এক্সেসরিজ বা যন্ত্রাংশের ব্যবসা
ছোটখাটো ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে এটি খুব দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। ছোট করে শুরু করে এই ব্যবসাটিকে অনেক বড় করা যায়।
- কী পণ্য বিক্রি করবেন: চার্জার, কভার, হেডফোন, ট্রাইপড, পাওয়ার ব্যাংক
- কোথা থেকে আনবেন: ঢাকার পাইকারি মার্কেট, চীন থেকে আমদানি
- লভ্যাংশ: প্রায় ৪০-৬০%
- পুঁজির প্রয়োজন: ১ লক্ষ +
ব্যবসা করার প্ল্যাটফর্ম: বাসার সামনে, মার্কেট বা মোড়ের পাশে ছোট্ট দোকান বা কার্ট, দারাজ
১.৩. ই-কমার্স / ফেসবুক পেইজ দিয়ে পোশাক বিক্রি
ফেসবুকে বিজনেস পেইজ খুলে আপনি দেশি-বিদেশি পোশাক বিক্রি শুরু করতে পারেন। ১ লক্ষ টাকায় হোলসেল থেকে মাল কিনে বিক্রি শুরু করতে পারেন। আবার স্টক না করেও ড্রপ শিপিংয়ের মাধ্যমেও শুরু করতে পারেন।
১.৪. বুটিক বা হ্যান্ডক্রাফটস বিজনেস
আপনি যদি হাতের কাজ করতে পছন্দ করেন, তাহলে নিজের তৈরি বুটিক প্রোডাক্ট বা হ্যান্ডমেইড জিনিস অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন।
- পুঁজির প্রয়োজন: ৫০,০০০ – ১,০০,০০০ টাকা
- পণ্যের ধরন: থ্রি-পিস, গিফট আইটেম, শো-পিস
- প্ল্যাটফর্ম: Shopify, Daraz Seller Account
২. হোম ক্যাফে বা হোমমেড খাবারের ব্যবসা
ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে হোম কিচেন এখন খুব ট্রেন্ডি। লাইভ খাবার সেল করা এখন নতুন একটি ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে।
- পুঁজির প্রয়োজন: ৩০,০০০ – ৮০,০০০ টাকা
- কাস্টমার: শ্রমজীবী মানুষ, ব্যাচেলর চাকুরিজীবী এবং শিক্ষার্থীরা, ফ্যামিলি, ভোজন রসিক মানুষ
- ডেলিভারি: ফুড ডেলিভারি পার্টনার (Foodpanda, Pathao)
- লভ্যাংশ: ভালো মানের খাবার হলে ভালো ওর্ডার নিশ্চিত, সেক্ষেত্রে খাবারভেদে ৩০% থেকে ৫০% মুনাফা সম্ভব।
পপুলার আইটেম: কাপকেক, হোমমেড লাঞ্চবক্স, স্পেশাল ডিশ যেমন- বিরিয়ানি, কাবাব, স্যুপ), আঞ্চলিক বিখ্যাত আইটেম।
সুবিধা:
- খাবারের চাহিদা কখনই কমে না।
- শুরু করার জন্য বড় জায়গার দরকার নেই।
টিপস:
- ইউনিক ও গ্রামীণ রেসিপি দিয়ে গ্রাহকদের আকর্ষণ করুন।
- ভালো রিভিউ পাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও কাঁচামাল ব্যবহার নিশ্চিত করুন।
৩. অনলাইন কোর্স তৈরি, টিউশন বা স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার
আপনার যদি কোনো দক্ষতা থাকে যেমন- গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, কোডিং, ফটোগ্রাফি, মিউজিক, সংগীত, খেলা, শরীরচর্চা, ইংরেজি বাংলা বা অন্য কোন ভাষার দক্ষতা ইত্যাদি। তাহলে নিজের স্কিলগুলোর উপর কোর্স তৈরি করতে পারেন। এটা এখন পৃথিবী জুড়ে গ্রহণযোগ্য আয়ের পথ। চাইলে আপনি আপনার বাসা বা ভাড়া বাসায় টিউশনির মতো করে স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার চালু করতে পারেন।
সুবিধা:
- বিশেষ দক্ষতা বা স্কিল ডেভেলপমেন্টে মানুষের চাহিদা সবসময় থাকবে।
- তাছাড়া এটা একটা সর্বজন স্বীকৃত পেশা, এটাতে সামাজিক সম্মানও পাওয়া যায়।
৪. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
এটা অনেকটা রিসেলিং বিজনেসের মতো। কোনো প্রোডাক্ট নিজে বানিয়ে বা স্টক না করেও অনলাইন রিসেলিং করে আয় করা সম্ভব। সহজ কথায়, অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করে কমিশন নেওয়া। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
প্ল্যাটফর্ম: অ্যামাজন, দারাজ, ক্লিকব্যাংক ইত্যাদি
বিনিয়োগ:
- ওয়েবসাইট/ফেসবুক পেজ: ১০,০০০-১৫,০০০ টাকা
- কনটেন্ট: ২০,০০০ টাকা
- এডস (ফেসবুক/গুগল): ২০,০০০-৩০,০০০ টাকা
সুবিধা:
- নিজের কোনো প্রোডাক্ট স্টক করতে হয় না।
- পুরো ব্যবসা অনলাইনে চলে।
- সহজেই বিদেশি মুদ্রায় আয় করা যায়।
৫. ইউটিউব বা সোশ্যাল মিডিয়ায় কনটেন্ট তৈরির বিজনেস
আপনি যদি ভিডিও বানাতে পারেন এবং সৃজনশীল হন, তাহলে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি ভালো সেটআপ তৈরি করে এই বিজনেস আইডিয়া শুরু করতে পারেন।
- যা লাগবে: ক্যামেরা, লাইট, মাইক্রোফোন, এডিটিং টুল ইত্যাদি
- খরচ: ১ লক্ষ টাকা বা তারচেয়ে কম
- আয়: গুগল অ্যাডসেন্স, ইউটিউব ভিউ, স্পন্সরশিপ থেকে আয় ইত্যাদি
- টপিক হতে পারে: ভ্রমণ, রান্না, বিভিন্ন টিউটোরিয়াল বিষয়ক ইত্যাদি
৬. ক্ষুদ্র কৃষি বা হাইড্রোপনিক্স ব্যবসা
যারা একটু আলাদা কিছু করতে চান, তারা ১ লক্ষ টাকায় ছোট আকারে সবজি চাষ বা মাশরুম চাষ করতে পারেন। ছোট বড় শহরগুলোতে এই ব্যবস্যা জনপ্রিয় হয়ে উঠঠে। অনেকে শুধু ভালো লাগা থেকে বা অবসর সময় কাটাতেও এই কাজ শুরু করেছেন এবং পরে বিজনেসে রূপ দিয়েছেন।
মনে রাখবেন, ব্যবসা মানেই হিসাবের খেলা!
আপনার ব্যবসা ছোট হোক বা বড়, হিসাব না রাখলে আপনি লাভ লোকসানের কিছুই বুঝতে পারবেন না। বিশেষ করে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায় এই প্রশ্নের উত্তর যখন খুঁজছেন, তখন হিসাব রাখার গুরুত্বটাও বুঝতে হবে।
কেন হিসাব গুরুত্বপূর্ণ?
- বিনিয়োগ ও আয়ের ট্র্যাক রাখা যায়।
- কোথায় খরচ বেশি হচ্ছে, বুঝতে সাহায্য করে।
- বাকি বকেয়ার হিসাব রাখা অনেক সহজ হয়ে যায়।
- ব্যবসার হিসাব হারিয়ে যাওয়ার কোন ভয় থাকে না।
- অনেক সময় বেঁচে যায়, যেটা আপনার ব্যবসা বৃদ্ধিতে কাজে লাগাতে পারেন।
- ব্যবসার ক্যাশফ্লো নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- বাজেট তৈরি করা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়।
- ব্যাংক লোন বা ভবিষ্যৎ ইনভেস্টরের সামনে প্রমাণ রাখা যায়।
সমাধান: হিসাব রাখার জন্য ব্যবহার করুন ‘হিসাবপাতি অ্যাপ’
আপনার প্রতিদিনের বিক্রি, খরচ, লাভ, ক্রেতার বাকি- সবই সহজে রাখতে পারবেন এই হিসাব রাখার অ্যাপ দিয়ে। এতে আপনার ব্যবসা হবে স্মার্ট, স্বচ্ছ এবং টেকসই।
কি ব্যবসা করা যায়? এই প্রশ্নের উত্তর একেকজনের জন্য একেকরকম হতে পারে। আপনার দক্ষতা, আগ্রহ ও সময় অনুযায়ী আপনি সঠিক ব্যবসাটি বেছে নিন। ব্যবসা শুরু করার সময় ধৈর্য এবং ধারাবাহিকতা সবচেয়ে বড় শক্তি। পুঁজি যেটাই হোক, সঠিক পরিকল্পনা এবং হিসাবের মাধ্যমে আপনি নিশ্চয় সফল হবেন। আপনার ব্যবসার জন্য আগাম শুভকামনা!
ডেমো দেখে সহজ তিনটি ধাপে হিসাবপাতি’তে যাত্রা শুরু করুন!
- ১ম ধাপ- হিসবাপাতি’তে সাইন আপ করুন:
প্রথমেই হিসাবপাতি’র ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ব্যবসার জন্য একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। অথবা গুগল প্লে স্টোর থেকে হিসাবপাতি অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এবং রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন। হিসাবপাতি’তে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং এটি সম্পূর্ণ ফ্রি!
- ২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন:
সাইন আপ করে প্রথমেই মালিক হিসেবে আপনার কোম্পানির প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ব্যবসার প্রোফাইল সেট-আপ করুন। তারপর ইনভেনটরি থেকে শুরু করে ইউনিট, ক্রয়-বিক্রয়, বাকি বকেয়া, ইনভয়েস এবং লেনদেন সহ ব্যবসার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সেট-আপ করুন। এরপর শুরু করুন প্রতিদিনের লেনদেন আপডেট রাখার কাজ।
- ৩য় ধাপ- হিসাবপাতি’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন:
হিসাবপাতি’তে ব্যবসার হিসাব রাখা শুরু করার পরে, প্রয়োজনীয় এবং ইউনিক ফিচারগুলো ব্যবহার করতে থাকুন। যেমন- ইনভয়েস, বারকোড স্ক্যানার, ইউনিট, ব্যয় ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি।
হিসাবপাতি’র ব্যবহারবিধি ও ফিচারের বিস্তারিত বুঝতে ইউটিউবে বাংলায় ডেমো ভিডিও দেখুন।
জমা খরচের ডিজিটাল খাতা- হিসাবপাতি’র ডেমো
হিসাবপাতি’র সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ৯৯ টাকা থেকে শুরু!
হিসাবপাতি বাংলাদেশের সবচেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী হিসাবরক্ষণ অ্যাপ। এর সাবস্ক্রিপশন ফি মাসিক ও বাৎসরিক দুটি মেয়াদে এবং তিনটি সুলভ প্যাকেজে ভাগ করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
- ০১. বেসিক প্যাকেজ: বেসিক প্যাকেজটি সম্পূর্ণ ফ্রি! মানে, আপনি সাবস্ক্রিপশন কেনার আগে ফ্রিতে অ্যাপটি ব্যবহার করে দেখতে পারছেন।
- ০২. প্রিমিয়াম প্যাকেজ: প্রিমিয়াম প্যাকেজের মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ৯৯ টাকা এবং এই প্যাকেজের বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশনে আছে ১৭% ডিসকাউন্ট! এতে এক বছরে খরচ পড়বে মাত্র ৯৯৯ টাকা!
- ০৩. বিজনেস প্যাকেজ: বিজনেস প্যাকেজর মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ১৯৯ টাকা। এই প্যাকেজেও বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশনে প্রিমিয়ামের মতোই আছে ১৭% ডিসকাউন্ট! তাই এক বছরে খরচ পড়ছে মাত্র ১৯৯০ টাকা!
হিসাবপাতি অ্যাপের সকল প্যাকেজের ফিচার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আজই বেছে নিন আপনার পছন্দের প্যাকেজটি! আপনার ব্যবসার জন্য শুভকামনা!