নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সবচেয়ে চমৎকার উপায় হলো একটি লাভজনক ব্যবসা শুরু করা। কিন্তু অনেকের জন্য নতুন ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে পাওয়াই যেন এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। বাজারের প্রতিযোগিতা, মূলধনের স্বল্পতা, ব্যক্তিগত দক্ষতা, লোকেশন, সময় ইত্যাদি বিষয় মিলাতে গিয়ে শুরুতেই অনেক নতুন উদ্যোক্তা হতাশ হয়ে পড়েন।
তবে সব ধরনের মানুষ, দক্ষতা ও পরিস্থিতির জন্যই আলাদা আলাদা ব্যবসার সুযোগ কিন্তু আছে। আপনার অবস্থা যেমনই হোক না কেনো, পরিস্থিতি অনুযায়ী বেছে নেয়া স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া হতে পারে আপনার সফলতার মূলমন্ত্র!
এই ব্লগে আমরা আলোচনা করবো ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে ঠিক কোন নতুন ব্যবসার আইডিয়া আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে। চলুন তাহলে, শুরু করা যাক!
ব্লগে যা থাকছে-
আপনি কি নতুন ব্যবসার আইডিয়া খুঁজছেন? প্রতিটি মানুষের আর্থিক অবস্থা, দক্ষতা এবং পরিবেশ আলাদা। তাই সঠিক ব্যবসা বেছে নেয়ার আগে নিজের পরিস্থিতি বুঝতে হবে। শহরে বা গ্রামে, কম বিনিয়োগে বা বড় প্রোজেক্ট, প্রতিটি ক্ষেত্রে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া রয়েছে। ঝোঁকের মাথায় নতুন ব্যবসা শুরু করলে হিতে বিপরীত হতে পারে!
প্রথমেই ভাবুন, আপনি ব্যবসার জন্য কেমন পরিস্থিতিতে আছেন?
একজন সফল উদ্যোক্তার সবচেয়ে বড় গুণ হলো, নিজেকে ও নিজের পরিস্থিতিকে বুঝতে পারার ক্ষমতা। আপনি কি শিক্ষার্থী? চাকরিজীবী? একজন গৃহিণী? নাকি দীর্ঘ সময় ধরে বেকার? আপনার কি বিনিয়োগ করার বড় পুঁজি আছে? নাকি কোন পুঁজি নেই বা স্বল্প পুঁজিতে শুরু করতে চান? আপনি কি শহরে থাকেন নাকি গ্রামে? এমন অনেক বিষয় বা পরিস্থিতি মাথায় রেখে ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
নতুন ব্যবসার আইডিয়া বেছে নেওয়ার আগে আপনাকে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে নিতে হবে-
- আপনার হাতে কী পরিমাণ মূলধন আছে?
- সময় কতটা দিতে পারবেন?
- আপনার আগ্রহ বা দক্ষতা কোন দিকে?
- আপনি শহরে নাকি গ্রামে থাকেন?
- আপনার ব্যবসার জন্য কি জায়গা বা লোকবল আছে?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর মিললেই বোঝা যাবে, কি ব্যবসা করা যায় এবং কোনটি আপনার জন্য লাভজনক ও টেকসই হবে।
ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে নতুন ব্যবসার আইডিয়া: আপনার জন্য কোনটি?
এখন আমরা বাস্তবভিত্তিক কিছু পরিস্থিতি ধরে আলোচনা করবো। দেখার চেষ্টা করবো যে, সেই পরিস্থিতিতে কোন ছোটখাটো ব্যবসার আইডিয়া আপনার জন্য সবচেয়ে কার্যকর হতে পারে।
১. আপনি যদি একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হন
আপনি যদি একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন, তাহলে নিচের স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া থেকে একটি বেছে নিতে পারেন।
- প্রজেক্ট/অ্যাসাইনমেন্ট হেল্প সার্ভিস: কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি লাভজনক ব্যবসা। কম সময়ে শুরু করা যায় এবং অনলাইনেই কাজ করা সম্ভব। এই বিজনেসের জন্য সেই অর্থে পুঁজিও লাগে না। শুধু প্রয়োজন আপনার গবেষণা করার ক্ষমতা ও ধৈর্য!
- অনলাইন কোর্স বা টিউশন: কোনো বিষয় বা সাবজেক্ট নিজে ভালো বোঝেন এবং অন্যদের পড়াতে ভালোবাসেন, এমন মানুষদের জন্য টিউশন সেরা। কারণ, আপনার ভালো লাগার বিষয়টি দিয়ে ছোটখাটো টিউশন বা কোর্স তৈরি করে অনলাইনে আয় করা যায়। এতে আপনার দক্ষতা বাড়ে, অন্যের শিক্ষাজীবন সহজ হয়, সাথে বাড়তি ইনকামও ভালো হয়।
- পডকাস্টিং বা ইউটিউব চ্যানেল: যদি উপস্থাপনার দক্ষতা থাকে, তাহলে নলেজ শেয়ার করে আয় করা সম্ভব। সবসময় যে দক্ষতা থাকতেই হবে এমন নয়, আপনার স্বপ্ন থাকেলে দক্ষতা অর্জন করা এখন খুব সহজ। ধরুন, আপনি প্রচুর বই পড়েন, তাহলে সেটা নিয়েই যাত্রা শুরু করতে পারবেন।
এই সবই শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত নতুন ব্যবসার আইডিয়া। এগুলো সময়োপযোগী বা ট্রেন্ডিং বিজনেস আইডিয়া। এমন সব আইডিয়া নিয়েই বিশ্বজুড়ে তরুণ-তরুণীরা কাজ করছেন।
২. আপনি চাকরিজীবী এবং বাড়তি আয়ের পথ খুঁজছেন
আপনি যদি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন এবং বাড়তি আয়ের পথ খোঁজেন, তাহলে আপনার জন্য দরকার লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া। মানে যে ব্যবসা স্বল্প পুঁজি ও স্বল্প সময়ে লাভ দেবে।
- ড্রপশিপিং ই-কমার্স: নিজে প্রোডাক্ট স্টোরে না রেখেও অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে আয় করা যায়। এটাই ড্রপশিপিং। এই ব্যবসা কম সময়ে সহজে চালানো যায়। কোন চাহিদা সম্পন্ন পণ্য নেয়ে চাকরির পাশাপাশি এই ব্যবসা করতে পারেন।
- ফ্রিল্যান্স সার্ভিস/কনসালটেন্সি: আপনি যদি লেখালেখি, ডিজাইন, মার্কেটিং বা কোন বিষয়ে কোচিং জানেন তাহলে এটিই হতে পারে আপনার সেরা ছোট ব্যবসা (Small Business Idea) বা বাড়তি আয়ের পথ। ফ্রিল্যান্সিং এখন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় পেশা। চাকরির পাশে বাড়তি সময়টুকু কাজে লাগিয়ে আয় করছেন হাজারো মানুষ।
- ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি: ই-বুক, কোর্স, টেমপ্লেট, সফটওয়্যার, গেম ইত্যাদি বানিয়ে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। এটাও এখন বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এটাতে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মতো ডেডলাইন থাকে না তাই নিজের ইচ্ছা মতো কাজ করা যায়।
এসব আধুনিক ও নতুন ব্যবসার আইডিয়া আপনার মূল কাজের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের পথ তৈরি করতে সহায়ক হবে।
৩. আপনি যদি একজন গৃহিণী হন
একজন শিক্ষিত গৃহিণী মানেই ব্যবসা করার কথা মাথায় আসবে! তাই আপনাদের জন্য সবচেয়ে ভলো ছোট ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে কাজ করা। যেমন-
- হোমমেড খাবার/বেকারি: রান্নায় ভালো হলে হোম ডেলিভারি ভিত্তিক ফুড সার্ভিস শুরু করতে পারেন। এটা বাংলাদেশের শহরগুলোতে বেশ জনপ্রিয়। ফুডপান্ডা ডট কম বা হাংরিনাকি ডট কম এর মতো ফুড ডেলিভারি সার্ভিস ব্যবহার করে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। চাইলে নিজে নিজেও ফেসবুকের মাধ্যমে শুরু করতে পারেন।
- বুটিক/হ্যান্ডক্রাফট পণ্য: হাতের কাজ জানলে ফেসবুক পেজ খুলে পণ্য বিক্রি শুরু করে দিন। হ্যাঁ, আজই শুরু করে দিন। এই উদ্যোগে কোন ঝামেলা বা লোকসানের সুযোগ নেই। কাস্টমার ওয়ার্ডার দেবে আপনি বানিয়ে ডেলিভারি দেবেন। পণ্য ও অন্যান্য খরচের সাথে নিজের কাজের মুজুরি নেবেন। ব্যাস্!
- বাচ্চাদের হোম ডে-কেয়ার সার্ভিস: হ্যাঁ, ঠিকেই দেখছেন! হোম ডে-কেয়ার সার্ভিস! এই বিজনেস আইডিয়া বাসা থেকেই চালানো সম্ভব, লাভজনকও বটে। নিশ্চিত থাকুন, ব্যস্ত শহরে আপনার পরিচিত অনেক পরিবারই এই সার্ভিস চড়া দামে লুফে নেবে!
উদ্যোমী গৃহিণীদের জন্য এ রকম নতুন ব্যবসার আইডিয়া খুবই বাস্তবসম্মত এবং লাভজনক।
৪. আপনি দীর্ঘ সময় ধরে বেকার বা চাকরি পাচ্ছেন না?
আপনি যদি হঠাৎ বেকার হয়ে যান এবং দীর্ঘ সময় চাকরি না পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনি এই ইউনিক বিজনেস আইডিয়াগুলো নিয়ে কাজ করতে পারেন।
- রিকন্ডিশন্ড প্রোডাক্ট ব্যবসা: রিকন্ডিশন্ড প্রোডাক্টের ব্যবসা মানে পুরাতন ইলেকট্রনিক্স/ফার্নিচার রিপেয়ার করে বিক্রি করা যায়। হতে পারে এটি গাড়ি, ফার্নিচার, বাইক, মোবাইল ইত্যাদি। এখানে পণ্য বিক্রির পরেও মালিককে টাকা দেয়া যায়, তাই পুঁজি তেমন লাগে না।
- অনলাইন রিসেলার মডেল: অন্যের প্রোডাক্ট তুলে ধরে নিজে বিক্রির ব্যবস্থা করলে কম ঝুঁকিতে আয় সম্ভব। এটাকে কমিশন বেসড ব্যবসা বলতে পারেন। এটা অনলাইন অফলাইন দুইভাবেই হতে পারে। অনেক চাকরিহীন মানুষের জন্য এসব হতে পারে গেমচেঞ্জার।
৫. আপনি যদি গ্রামে থাকেন বা জায়গা খালি থাকে
আপনার যদি শহরে বা গ্রামে জায়গা থাকে তাহলে এই লাভজনক ব্যবসার আইডিয়াগুলো নিয়ে কাজ করতে পারেন।
- অর্গানিক ফার্মিং/কৃষি: বর্তমান বিশ্বে তুমুল জনপ্রিতা পেয়েছে এই অর্গানিক ফার্মিং/কৃষি কাজ। বাংলাদেশেও এর চরম প্রয়োজনীয়তা দেখা যাচ্ছে। শহুরে মানুষ দাম দিয়ে ভালো সবজি, ফল এবং আমিষ খেতে অভ্যস্ত হচ্ছেন। জমি থাকলে কম খরচে ও কম সময়ে সফল হওয়া সম্ভব।
- ডেইরি বা হাঁস-মুরগি পালন: যারা টেকসই ব্যবসা করতে চান তাদের জন্য এই আইডিয়া ভালো। তুলনামূলক কম পুঁজি নিয় সঠিক ব্যবস্থাপনায় নিয়মিত আয় হবে। এই ব্যবসার ভালো দিক হলো, এটিকে আপনি বিশাল আকারের প্রোজেক্ট করতে পারবেন এবং সরকারের থেকে লোন নিতে পারবেন।
- স্থানীয় হস্তশিল্প বা পণ্যের ব্যবসা: এই ব্যবসা করতে হলে মানুষের সৌখিনতা বোঝার মানষিকতা থাকতে হবে। দেশে বিদেশে রুচিশীল পণ্যের চাহিদা আছে। জায়গা মতো সাপ্লাই দিলে দ্রুত লাভ আসবে।
৬. আপনি যদি শহরে থাকেন, আর টেকনোলজিতে আগ্রহী হন
- আইটি সাপোর্ট সার্ভিস: কম্পিউটার, ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক, মোবাইল ইত্যাদির হার্ডওয়ার বা সফটওয়্যার সার্ভিস প্রদান করে আয় করা যায়।
- ক্লাউড কিচেন: শহরের ব্যস্ত মানুষের জন্য চাহিদাসম্পন্ন একটি সেবা। আপনার রান্নাঘরের খাবার অন্যের কাছে পাঠাবেন।
- কনটেন্ট প্রোডাকশন (ভিডিও/গ্রাফিক্স): সৃজনশীল মানুষদের জন্য একটি ইউনিক বিজনেস আইডিয়া। এখন এটি প্রচুর জনপ্রিয়।
৭. বড় বিনিয়োগে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া
যদি আপনার কাছে ৫ লক্ষ টাকার বেশি বিনিয়োগের সামর্থ্য থাকে, তাহলে নিচের বড় প্রোজেক্ট গুলোতে হাত দিতে পারেন-
- ফ্র্যাঞ্চাইজি বা রেস্তোরাঁ ব্যবসা: জনপ্রিয় ফাস্ট-ফুড বা কফি শপের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে রাতারাতি ব্যবসায়ী বনে যান! ভাল লোকেশন বেছে নিয়ে রেস্তোরাঁ ব্যবসা শুরু করলে লাভবান হওয়া সহজ।
- ম্যানুফ্যাকচারিং বা এক্সপোর্ট বিজনেস: হ্যান্ডিক্রাফট, টেক্সটাইল বা প্রসেসড ফুড তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করতে পারেন। প্রয়োজনে সরকারি সুবিধা ও প্রোণোদনার জন্য আবেদন করে ব্যবসা বড় করতে পারবেন।
- টেক-বেসড স্টার্টআপ (সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট): মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টের ব্যবসা শুরু করুন। কর্পোরেট ক্লায়েন্টদের টার্গেট করুন আর ব্যবসা বাড়ান।
ঝোঁকের মাথায় নতুন ব্যবসা নয়!
অনেকেই হুট করেই একটি ব্যবসা শুরু করেন। বেশিরভাগ সময় বন্ধুর প্ররোচনায়, ইউটিউবে দেখে বা হুটহাট সিদ্ধান্তে। এর ফলাফল বেশিরভাগ সময়েই হয় হতাশাজনক।
তাই নতুন ব্যবসা শুরু করার আগে যা করবেন না-
- আত্মবিশ্বাস না থাকলে ঋণ নিয়ে ব্যবসা নয়
- বাজার যাচাই ছাড়া ইনভেস্টমেন্ট নয়
- অন্যের ব্যবসা দেখে নকল করে শুরু নয়
- সঠিক প্রস্তুতি ছাড়া কোনো ব্যবসা নয়
সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য করণীয়-
- নিজের পরিস্থিতি বুঝুন
- আগ্রহ ও দক্ষতার তালিকা করুন
- সম্ভাব্য ব্যবসার ঝুঁকি ও সুযোগ যাচাই করুন
- ছোট পরিসরে শুরু করুন
- ধাপে ধাপে বাড়ান
মনে রাখবেন, ব্যবসা একটি যাত্রা, গন্তব্য নয়। প্রস্তুতি ছাড়া শুরু করলেই ভোগান্তি! সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজন বাজার বিশ্লেষণ, দক্ষতা, ধৈর্য, সঠিক গাইডলাইন আর হিসাব রাখার সুব্যবস্থা। হিসাব করে, পরিকল্পনা নিয়ে শুরু করলেই নতুন ব্যবসার আইডিয়া থেকে আসবে সাফল্য।
শেষ কথা হলো, নতুন ব্যবসা মানেই নতুন সম্ভাবনা! নতুন ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে পেতে ভয়ের কিছু নেই। আপনার পরিস্থিতি, আগ্রহ ও সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যবসা শুরু করলে সফল হওয়া খুব একটা কঠিন কাজ নয়। শুধু দরকার, চিন্তা-ভাবনা করে সাহস নিয়ে এক পা এগিয়ে যাওয়া। সময় এখনই!
ডেমো দেখে সহজ তিনটি ধাপে হিসাবপাতি’তে যাত্রা শুরু করুন!
- ১ম ধাপ- হিসবাপাতি’তে সাইন আপ করুন:
প্রথমেই হিসাবপাতি’র ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ব্যবসার জন্য একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। অথবা ব্যবসা পরিচালনাকে সহজ করতে আজই ফ্রিতে ডাউনলোড করে ইন্সটল করুন- ‘হিসাবপাতি’
এরপরেই রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন। হিসাবপাতি’তে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং এটি সম্পূর্ণ ফ্রি!
- ২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন:
সাইন আপ করে প্রথমেই মালিক হিসেবে আপনার কোম্পানির প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ব্যবসার প্রোফাইল সেট-আপ করুন। তারপর ইনভেনটরি থেকে শুরু করে ইউনিট, ক্রয়-বিক্রয়, বাকি বকেয়া, ইনভয়েস এবং লেনদেন সহ ব্যবসার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সেট-আপ করুন। এরপর শুরু করুন প্রতিদিনের লেনদেন আপডেট রাখার কাজ।
- ৩য় ধাপ- হিসাবপাতি’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন:
হিসাবপাতি’তে ব্যবসার হিসাব রাখা শুরু করার পরে, প্রয়োজনীয় এবং ইউনিক ফিচারগুলো ব্যবহার করতে থাকুন। যেমন- ইনভয়েস, বারকোড স্ক্যানার, ইউনিট, ব্যয় ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি। হিসাবপাতি’র ব্যবহারবিধি ও ফিচারের বিস্তারিত বুঝতে ইউটিউবে বাংলায় ডেমো ভিডিও দেখুন।
জমা খরচের ডিজিটাল খাতা- হিসাবপাতি’র ডেমো
হিসাবপাতি সহজ ও সাশ্রয়ী হিসাবরক্ষণ অ্যাপ। এর সাবস্ক্রিপশন ফি বিভিন্ন মেয়াদে এবং সুলভ প্যাকেজে ভাগ করে নির্ধারণ করা হয়েছে। হিসাবপাতি’র সকল প্যাকেজের মূল্য ও ফিচার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আজই বেছে নিন আপনার পছন্দের প্যাকেজটি! আপনার ব্যবসার জন্য শুভকামনা!