ব্যবসার বাজেট তৈরির পদ্ধতি : ১০টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস!

ব্যবসার বাজেট তৈরির পদ্ধতি : ১০টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস!

একটি ব্যবসার সফলতার পেছনে যে বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো- ‘বাস্তবসম্মত বাজেট’। একটি বাস্তবসম্মত ভালো বাজেটে ব্যবসার সমস্যা ও সম্ভাবনার যৌক্তিক ও প্রয়োগিক সমাধান থাকে। বাজেট তৈরির নিয়ম মেনে তা করতে পারলে ব্যবসা পরিচালনা এবং ব্যবসার আয় ব্যয়ের হিসাব করা সহজ হয়। তাই ব্যবসার বাজেট তৈরির পদ্ধতি জেনে নিজের ব্যবসার জন্য সময় উপযোগী বাজেট তৈরি করতে হবে।
আজ আমরা আলোচনা করবো ব্যবসার বাজেট তৈরির পদ্ধতি এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিয়ে, যা আপনাকে সঠিকভাবে বাজেট তৈরি করতে সাহায্য করবে। কীভাবে হিসাবপাতি অ্যাপের ব্যবহার বাজেট তৈরিতে এবং তা মানতে সহায়তা করতে পারে?
চলুন শুরুতেই ব্যবসার বাজেট তৈরির পদ্ধতিগুলোর দিকে ফোকাস দেয়া যাক।

ব্লগে যা থাকছে-

ব্যবসার বাজেট তৈরির পদ্ধতি এবং ১০টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস!

সঠিক বাজেট তৈরি করা একটি কঠিন কাজ। এটা মূলত দক্ষ এবং পেশাদার মার্কেটিং এক্সপার্টদের কাজ। তবে কিছু নিয়ম এবং কিছু টিপস অনুসরণ করলে বাজেট তৈরি করা আপনার জন্য সহজ হয়ে যায়। আসুন জেনে নেই ব্যবসার বাজেট তৈরির পদ্ধতি এবং ১০টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস-

০১. বাস্তবসম্মত ব্যবসায়িক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করুন

বাজেট তৈরির সময় বাস্তবসম্মত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত উচ্চ বা নিম্ন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করলে বাজেট প্রয়োগ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই শুরুতেই একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।

০২. অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খরচ বা ব্যয়ের খাত ঠিক করুন

প্রয়োজনীয় খরচ এবং অপ্রয়োজনীয় খরচের মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণ করতে হবে। আপনার ব্যবসার জন্য কোনটি আগে কোনটি পরে সেটা আপনার মতো করে কেউ বুঝবে না। তাই অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে আনুন বা পরে করুন এবং প্রয়োজনীয় খরচে বেশি গুরুত্ব দিন।

০৩. বিভিন্ন খরচ বা ব্যয়ের সময় ও সীমা নির্ধারণ করুন

বিভিন্ন খাতে খরচের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় ও সীমা নির্ধারণ করা জরুরি। ধরুন, আপনি অবকাঠামোতে ব্যয় করবেন। তাহলে ঠিক করুন, খরচটি কখন করবেন এবং কত টাকা খরচ করবেন? এভাবে হিসাব করলে আপনি কোন খরচ কোন পর্যায়ে থামাতে হবে তা সহজেই নির্ধারণ করতে পারবেন।

০৪. ব্যবসার ঝুঁকি বা রিস্ক নেয়ার জন্য পরিকল্পনা করুন

প্রতিটি বাজেটে ছোট বড় কিছু না কিছু ঝুঁকি নেয়ার চেষ্টা করতে হবে। যেটা ব্যবসা বাড়ানোর প্রধানতম উপায়। শুরু ঝুঁকি নেয়ার পরিকল্পনা থাকলেই চলবে না, বাজেটে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জন্য একটি আলাদা প্ল্যান রাখুন। এতে অপ্রত্যাশিত খরচ এবং ক্ষতির সময় আপনি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

০৫. বিগত বছরের বাজেট বা আয় ব্যয় পর্যালোচনা করুন

যদি থাকে, তাহলে অবশ্যই আগের বছরের বাজেট এবং আয় ব্যয় পর্যালোচনা করে দেখুন। পূর্বে কোথায় কোথায় ভুল হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী নতুন বাজেট তৈরি করুন। সেগুলো থেকে শিক্ষা নেয়াটাও জরুরি।

০৬. বাজেট অনুযায়ী ব্যবসা চালানোর চেষ্টা করুন

বাজেট তৈরি করার পর তা যথাযথভাবে মেনে চলাটাই কঠিন হয়ে পড়ে! তবে সেই চেষ্টা করতে হবে। এই কঠিন কাজে হিসাবপাতি অ্যাপের সাহায্যে নিন। আপনার বাজেটের প্রতি পদক্ষেপ সহজেই মনিটর করুন এবং রেকর্ড রাখুন হিসাবপাতি’তে।

০৭. টাকা জমানোর বা সঞ্চয়ের জন্য প্ল্যান রাখুন

ব্যবসার বাজেটে সঞ্চয়ের জন্য আলাদা একটি অংশ রাখুন। এই অংশটি ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করবে। আবার অনেকে পুনরায় বিনিয়োগের জন্যও টাকা জমাতে পারেন।

০৮. বাজেট তৈরিতে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা নিন

বাজেট তৈরির জন্য প্রযুক্তির সহায়তা নিতে হবেই। নির্ভুল ও ডেটা নির্ভর বাজেট তৈরির পূর্বশর্ত এটি! হিসারক্ষণ সফটওয়্যার হিসাবপাতি এবং এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ হাজিরা ব্যবহার করলে বাজেট তৈরি করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

০৯. ব্যবসায় আয়ের সম্ভাবনা যাচাই করুন

ব্যবসার আয়ের বিভিন্ন সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করুন এবং সেই অনুযায়ী বাজেট তৈরি করুন। যে পণ্য থেকে বা যে খাত থেকে আয়ের সম্ভাবনা বেশি সেগুলো নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা থাকতে পারে। আবার যেগুলোতে লাভ কম হচ্ছে, সেগুলো থেকে কীভাবে আয় বাড়ানো যায় সেটা দেখতে হবে।

১০. নিজে এবং টিমের সাথে নিয়মিত বাজেট পর্যালোচনা করুন

প্রতি মাসে বা তিন মাস পরপর বাজেট পর্যালোচনা করুন এবং প্রয়োজন হলে বাজেটে পরিবর্তন আনুন। এই কাজে অভিজ্ঞদের সহায়তা নিন এবং আপনার টিমের সাথে পরিকল্পনা শেয়ার করুন। যাতে তারাও আপনার লক্ষ্যটি দেখতে ও বুঝতে পারে।

হিসাবপাতি ব্যবসার বাজেট বাস্তবায়নে সাহায্য করবে

ব্যবসার বাজেট তৈরির পদ্ধতি মেনে বাজেট প্রস্তুত করলেন। এবার তা মেনে চলার পালা। বাজেট মেনে ব্যবসা পরিচালনা করা সফলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হিসাবপাতি অ্যাপটি আপনার ব্যবসার বাজেট তৈরি করতে এবং তা মেনে চলতে অনেকভাবে সাহায্য করতে পারে। যেমন-
ইনভেন্টরি বা স্টক ম্যানেজমেন্ট: হিসাবপাতি অ্যাপের মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার ইনভেন্টরি ম্যানেজ করতে পারবেন। এতে আপনার ব্যবসার স্টক সম্পর্কিত খরচ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ক্রয় বিক্রয় রিপোর্ট জেনারেট: এই অ্যাপের রিপোর্টস ফিচারের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসার ক্রয় ও বিক্রয়ের তথ্য সহজে জানতে পারবেন। এতে করে আয়ের অগ্রীম হিসাব পাওয়া সহজ হবে এবং সেই অনুযায়ী বাজেট তৈরি করা যাবে।
সকল লেনদেনের তথ্য সংরক্ষণ: হিসাবপাতি অ্যাপটি আপনার প্রতিটি লেনদেনের তথ্য সংরক্ষণ করে রাখে, যা বাজেট তৈরির সময় অত্যন্ত কাজে আসবে।
প্রতিটি খাতের বিভিন্ন মেয়াদি রিপোর্ট: এই অ্যাপের রিপোর্ট জেনারেশন ফিচারের মাধ্যমে আপনি যেকোনো সময় বিভিন্ন মেয়াদের রিপোর্ট পাবেন। আপনার বাজেট এবং সে অনুযায়ী আয় ব্যয়ের তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
সঠিকভাবে বাজেট তৈরি এবং তা মানতে পারলে ব্যবসায় সফলতা আসবেই। হিসাবপাতি অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার ব্যবসার বাজেট তৈরি করতে এবং তা মেনে চলতে পারেন। অ্যাপটি আপনার ব্যবসার বাজেট ম্যানেজমেন্টের জন্য একটি আদর্শ সমাধান হতে পারে। হিসাবপাতি অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এবং আপনার ব্যবসার জন্য বাজেট তৈরি করুন!

হিসাবপাতি’র সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ৯৯ টাকা থেকে শুরু!

হিসাবপাতি বাংলাদেশের সবচেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী হিসাবরক্ষণ অ্যাপ। এর সাবস্ক্রিপশন ফি মাসিক ও বাৎসরিক দুটি মেয়াদে এবং তিনটি সুলভ প্যাকেজে ভাগ করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
০১. বেসিক প্যাকেজ: বেসিক প্যাকেজটি সম্পূর্ণ ফ্রি! মানে, আপনি সাবস্ক্রিপশন কেনার আগে ফ্রিতে অ্যাপটি ব্যবহার করে দেখতে পারছেন।
০২. প্রিমিয়াম প্যাকেজ: প্রিমিয়াম প্যাকেজের মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ৯৯ টাকা এবং এই প্যাকেজের বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশনে আছে ১৭% ডিসকাউন্ট! এতে এক বছরে খরচ পড়বে মাত্র ৯৯৯ টাকা!
০৩. বিজনেস প্যাকেজ: বিজনেস প্যাকেজর মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ১৯৯ টাকা। এই প্যাকেজেও বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশনে প্রিমিয়ামের মতোই আছে ১৭% ডিসকাউন্ট! তাই এক বছরে খরচ পড়ছে মাত্র ১৯৯০ টাকা!
হিসাবপাতি অ্যাপের সকল প্যাকেজের ফিচার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আজই বেছে নিন আপনার পছন্দের প্যাকেজটি!

সহজ তিনটি ধাপে হিসাবপাতি’তে যাত্রা শুরু করুন!

হিসবাপাতি’তে সাইন আপ করুন:
প্রথমেই হিসাবপাতি’র ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ব্যবসার জন্য একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। অথবা গুগল প্লে স্টোর থেকে হিসাবপাতি অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এবং রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন। হিসাবপাতি’তে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং এটি সম্পূর্ণ ফ্রি!
আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন:
সাইন আপ করে প্রথমেই মালিক হিসেবে আপনার কোম্পানির প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ব্যবসার প্রোফাইল সেট-আপ করুন। তারপর ইনভেনটরি থেকে শুরু করে ইউনিট, ক্রয়-বিক্রয়, বাকি বকেয়া, ইনভয়েস এবং লেনদেন সহ ব্যবসার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সেট-আপ করুন। এরপর শুরু করুন প্রতিদিনের লেনদেন আপডেট রাখার কাজ।
হিসাবপাতি’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন:
হিসাবপাতি’তে ব্যবসার হিসাব রাখা শুরু করার পরে, প্রয়োজনীয় এবং ইউনিক ফিচারগুলো ব্যবহার করতে থাকুন। যেমন- ইনভয়েস, বারকোড স্ক্যানার, ইউনিট, ব্যয় ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি।
আপনার ব্যবসার জন্য শুভকামনা!

Search
সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ
আজই আমাদের অ্যাপ ডাউনলোড করুন
অনলাইন বা অফলাইনে যেকোন জায়গা থেকে সহজেই আপনার দৈনন্দিন ব্যবসায়িক লেনদেন পরিচালনা করুন।